ডায়াবেটিস কমানোর সহজ উপায়। ডায়াবেটিস যত্নের ৫টি টিপস

Rate this post

গ্লাইসেমিক স্বাস্থ্য অর্থাৎ রক্তে সুগারের সুস্থ স্তর। রক্তে অবিরাম বেশি মাত্রায় সগার অর্থাৎ শর্করা থাকলে ডায়াবেটিসের কারণ হয়ে ওঠে। অধ্যয়নে জানা গিয়েছে যে ভারতে ক্রমশ প্রাক-ডায়াবেটিস এবং ডায়াবেটিসের রােগী সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ভারতে 6.1 কোটির বেশি ডায়াবেটিসের রােগী আছেন এবং পাব্লিক হেস্য ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার অনুমান, 2030 সাল পর্যন্ত সেটা 10 কোটি হয়ে যাবে।সুগারের এই অস্বাস্থ্যকর স্তরবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত আছে আরাে কয়েকটা বিপদাশঙ্কা যেমন;

  • মেদবাহুল্যতা
  • হাইপারটেনসন বা উচ্চ রক্তচাপ
  • বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল
  • কার্ডিওভাস্কুলার ব্যধি

ডায়াবেটিস কমানোর সহজ উপায়

ডায়াবেটিস, ডাক্তাররা প্রায়ই যাকে বলেন ডায়াবেটিস মেলিটাস। এক প্রকারের বিপাকীয় রােগ যাতে ব্যক্তিবিশেষের রক্তে মাত্রাধিক গ্লুকোজ (ব্লাড সুগার) থাকে। তার মূল কারণ হয় শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা শরীরের কোষগুলি ইনসুলিনে ঠিকমত সাড়া দেয় না বা দুই-ই। যেসব রােগীর রক্তে বেশিমাত্রায় সুগার থাকে তাদের সাধারণত পলিইউরিয়ার (বারংবার প্রস্রাব করা) অভিজ্ঞতা হয়, প্রায়ই পিপাসা পায় (পলিডিপসিয়া) এবং খিদে পায় (পলিফ্যাজিয়া)।

পূর্ণবয়স্কদের অন্ধত্ব, এন্ড-স্টেজ রিনাল ডিজিজ (ESRD), গ্যাংগ্রিন এবং হাত বা পা কেটে বাদ দেওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ হল এই ডায়াবেটিস। মেদবাহুল্য, অলস জীবনশৈলী, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ব্যায়ামের অভাব এবং পারিবারিক ইতিহাস ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ডায়াবেটিসের ফলে কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা এবং স্নায়বিক রােগব্যধি হতে পারে।

ডায়বেটিস যত্নের ৫ টা টিপস

১। আরাে বেশি কায়িক শ্রম করুন:

নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন কম করা যায়, রক্তে সুগার কম করা যায় এবং ইনসুলিনে সংবেদনশীলতা বাড়ে-যা আপনার রক্তের সুগার স্বাভাবিক সীমামধ্যে রাখতে সাহায্য করে।

২। প্রচুর ফাইবার খান:

ফল, শাক সজি, বীন, গােটা শস্য, বাদাম এবং বীজের মত ফাইবারে ভরপুর খাবার রক্তে সুগার সুনিয়ন্ত্রণ রেখে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা এবং হার্টের রােগাশঙ্কা কম করতে সাহায্য করে।

৩। গােটা শস্য খান:

গােটা শস্য আপনার ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কম করতে এবং রক্তে সুগারের স্তর সঠিক রাখতে আপনার সহায়ক হতে পারে। আপনার আহারে শস্যের। অন্তত অর্ধেক পরিমাণ গােটা শস্য রাখুন।

৪। অতিরিক্ত ওজন কম করুন:

যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে হয়ত ওজন কম করে ডায়াবেটিস প্রতিরােধ করা যাবে। প্রতি পাউন্ডের ওজন হ্রাস আপনাম স্বাস্থ্যোন্নতি করবে, এবং আপনি এতটা উন্নতি দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

৫। খেয়ালখুশীমত ডায়েট করা বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন:

কম কার্বোহাইড্রেটের আহার, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ডায়েট বা খেয়ালখুশীমত অন্যান্য ৩ প্রথমদিকে হয়ত ওজন কম করতে আপনাকে সাহায্য করবে তবে ডায়াবেটিসে বাধা দিতে এইগুলি কতটা কার্যকর হবে বা দীর্ঘকালীন প্রভাব কেমন হবে তা জানা নেই।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment

error: Content is protected !!